চালকল নিয়ে চলা মামলায় স্থগিতাদেশ
চুক্তিপত্র অনুযায়ী চালকল মালিকদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা খাদ্য দফতরের। কিন্তু খাদ্য দফতর নিযুক্ত সংস্থা সে পথে না হেঁটে সরাসরি চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে। পাল্টা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করেন এক চালকল মালিকও। তাঁর দাবি, খাদ্য দফতরের নিযুক্ত কোনও সংস্থা চুক্তিপত্র অনুযায়ী এফআইআর করতে পারে না। গত ২৮ নভেম্বর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ওই এফআইআরের উপর স্থগিতাদের জারি করে নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে আর এগোতে পারবেন না অভিযোগকারী সংস্থা।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী, বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, "অভিযোকারীর নির্বুদ্ধিতার জন্যই বিচারপতি মামলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এ বার অভিযুক্ত চালকল মালিকেরা এই নির্দেশের সুবিধা নেবেন। আখেরে সরকারের প্রচুর টাকা লোকসানের মুখে পড়ল।”
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বর্ধমান জেলায় ১১টি চালকল থেকে ৭৬১৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য দফতর। ওই দফতরের কর্তাদের দাবি, বারবার বলার পরেও চাল দেওয়া তো দূর, কোনও কোনও মালিক সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে চাল তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে রাজ্য থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। সেই খবর জানার পর খাদ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে ওই সব চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এর পরেই পুলিশ এক দিনে অভিযুক্ত চালকলে হানা দিয়ে পাঁচ মালিক ও পনেরো জন কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম সহায়ক মূল্যে সমবায় ও কৃষক বাজার মারফত চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনে। নিয়মমতো ধান দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যে প্রতিটি চালকলকে সরকারের কাছে চাল দিতে হয়। কিন্তু তা হয়নি বলে দাবি ওই সংস্থার।
- হাসপাতাল-চত্বরে-দিব্যি-চলছে-দো
- নগদে-টান-বোঝাপড়াই-ভরসা-টিভি-চ
Comments