প্রতিরক্ষায় আমেরিকার বন্ধু ভারত
প্রতিরক্ষায় আমেরিকার বন্ধু ভারত
December 10, 2016, 1:22pm
আন্তর্জাতিক
হাত বাড়াল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসে ক্ষমতা বদলের ঠিক মুখে ভারতকে নিজেদের ‘প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগী’ হিসেবে মান্যতা দিতে আরও এক ধাপ এগোল আমেরিকা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাশের পর এ বার অপেক্ষা শুধু প্রেসিডেন্টের সইয়ের।গত কালই মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে ৬১৮ বিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাব। কিন্তু ভারতকে ‘প্রধান প্রতিরক্ষা সহযোগী’ হিসেবে আদৌ মেনে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন ছিল। দিনের শেষে অবশ্য দেখা গেল, ৯৯টির মধ্যে ৯২টি ভোটই পড়েছে নয়াদিল্লির পক্ষে। এর আগে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বিলটি পাশ হয়েছিল ৩৭৫-৩৪ ভোটের ব্যবধানে। এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট কবে সই করেন— সে দিকেই তাকিয়ে নয়াদিল্লি। সরকারি ভাবে ১০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কূটনীতিকদের একাংশ যদিও ধরে নিচ্ছেন ‘২০১৭ ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট’-এ সই করবেন বিদায়ী প্রেসি়ডেন্ট বারাক ওবামাই।কূটনীতিকদের দাবি এই আইনে লাভ দু’পক্ষেরই। প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি বছরের জুন থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে নাগাড়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল ওয়াশিংটন। গত কালই নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে বৈঠক করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাস্টন বি কার্টার। আর তার পরেই এই বিল পাশের খবর। প্রতিরক্ষা খাতে কী ভাবে তৈরি হবে এই ইন্দো-মার্কিন যৌথ সম্পর্ক? ১৮০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে কংগ্রেসে রিপোর্ট পেশ করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিব। যৌথ স্বার্থে ভারত কতটা সাহায্য করতে পারবে তা-ও খতিয়ে দেখবেন এঁরা।মার্কিন সেনেটের ইন্ডিয়া ককাসের সহ-সভাপতি মার্ক ওয়ার্নার অবশ্য আজই ভারতের এই অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক সহযোগিতা তো বটেই, এর ফলে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, গবেষণা এবং প্রযুক্তি বিনিময়েও বিস্তর সুবিধা হবে।’’ পাশাপাশি, বিশ্ব-নিরাপত্তা এবং আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এই জোট কার্যকরী হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর নয়াদিল্লির একাংশের আশা— শুধু যুদ্ধে নয়, এ বার বিপর্যয় মোকাবিলা, ত্রাণ-উদ্ধার এমনকী পাচার রোধেও একজোট হবে দুই দেশ।
Comments