দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগ, কাশ্মীরে ১২ সরকারি কর্তা বরখাস্ত
কারখানার বিলগ্নিকরণ বিষয়ে ক্যাবিনেট কমিটি (ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স) অনুমোদন দিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে এ কথা জানিয়েছেন স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার (সেল) কর্তারা। — এই দাবিতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে (এএসপি) দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালেন সিটু ও আইএনটিইউসি-র নেতা, কর্মীরা। কারখানার গেটে আটকে দেওয়া হয় আধিকারিকের গাড়িও।
এ দিন সকালে কারখানার গেটে আধিকারিক সোমদেব দাসের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। শ্রমিক-কর্মীদের দাবি তিনি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানাবেন বলেও আশ্বাস দেন। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও দুপুরে ফের শুরু হয় মিছিল। তবে দু’টি সংগঠনের মিছিলটিকে কারখানার গেটে আটকে দেয় কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)। বেশ কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দেওয়া হয় গেট। সংস্থার প্রশাসনিক ভবনের সামনেও মিছিল করেন শ্রমিকেরা। তবে সোমদেববাবু আন্দোলনরত কর্মীদের কাছে দাবি করেন, বিলগ্নিকরণ সংক্রান্ত কোনও লিখিত নির্দেশিকা এখনও হাতে আসেনি।
তা হলে আন্দোলন কেন? সিটুর দাবি, ২৯ নভেম্বর মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডে সেল কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছেন। শ্রমিক নেতাদের দাবি, সেবি-র (এসইবিআই) নিয়ম রয়েছে শেয়ার মার্কেটে নথিবদ্ধ কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে পরিচালনগত বা চরিত্রগত কোনও পরিবর্তন ঘটলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। শ্রমিক নেতাদের দাবি, নিয়ম মেনে সেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভদ্রাবতী, সালেমের ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স) অনুমোদন করেছে। প্রসঙ্গত, কারখানা বিলগ্নিকরণ করার প্রতিবাদে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে থেকেই সিটু লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সম্প্রতি বাতিল আকরিক ব্যবহার করে কী ভাবে ভাল ইস্পাত তৈরি করা যায়, তার জন্য নতুন প্রযুক্তির খোঁজে আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে চুক্তিও করে এএসপি। কিন্তু সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলা কারখানাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Comments